ঢাকা, সোমবার, ৭ জুন ২০২১ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮

রাজধানীতে ১০ মাসে আ.লীগের ৩ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার

📝 অনলাইন ডেস্ক
🕐 ২০২৫-১০-৩১ ১৯:৫৬:৪৭

রাজধানীতে ১০ মাসে আ.লীগের ৩ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার

রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করার অভিযোগে চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গ্রেফতারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, “এটা গণগ্রেফতার বলা যাবে না। আমরা শুধু ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া এবং তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার করছি। যাচাই-বাছাইয়ের পর অভিযোগ প্রমাণ হলেই মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।”
তিনি জানান, ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই রাজধানীতে এসে মিছিলের চেষ্টা করছেন। তাদের উদ্দেশ্য “রাজধানীতে তাদের উপস্থিতি জানানো এবং আতঙ্ক সৃষ্টি”।
ঝটিকা মিছিলের অংশগ্রহণকারীদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, “বাইরের জেলা থেকে কেউ ঢাকায় আসবে, থাকা-খাওয়ার খরচসহ নির্দিষ্ট টাকা না হলে তো সে আসবে না। আমাদের কাছে তথ্য আছে—বিভিন্নভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। যারা অর্থায়ন করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি বলেন, “গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন ইউনিয়ন, থানা বা উপজেলা পর্যায়ের নেতা। এতে পরিষ্কার, সংগঠিতভাবে তারা ঢাকায় এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন করার চেষ্টা করছে।”
মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন ডিসি তালেবুর রহমান। বলেন, “অনেককে হাতেনাতে ককটেলসহ ধরা হয়েছে। এগুলো খুব বিপজ্জনকভাবে তৈরি। উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।”
ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, “২৪৪ জন একদিনে এবং ১৩১ জনকে অন্যদিন গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের নজরদারির কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে।”
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়বে—এমন মন্তব্য করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিএমপি যেকোনও অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।”
ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারীদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রাজধানীতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক কার্যক্রম মোকাবিলায় পুলিশের কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ঝটিকা মিছিল, বিস্ফোরণ এবং আর্থিক প্রণোদনার অভিযোগে তদন্ত চলছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।