ঢাকা, সোমবার, ৭ জুন ২০২১ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮

নাইজেরিয়ায় ট্রাম্পের সামরিক হুমকি: খ্রিস্টানদের রক্ষায় দ্রুত অভিযান

📝 অনলাইন ডেস্ক
🕐 ২০২৫-১১-০২ ১২:৫৮:১২

নাইজেরিয়ায় ট্রাম্পের সামরিক হুমকি: খ্রিস্টানদের রক্ষায় দ্রুত অভিযান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হলে তিনি দ্রুত সামরিক অভিযান চালানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তিনি একই সঙ্গে নাইজেরিয়াকে দেওয়া সব সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে চলমান ঘটনার বিরুদ্ধে দেশটির সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে তিনি দ্রুত ও তীব্র সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা দেখে রেখেছেন। ট্রাম্প বলেন, প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র “দ্রুত, হিংস্র ও মধুর” অভিযান চালাবে এবং ইসলামিক সন্ত্রাসীদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করার জন্য সামরিক বাহিনী আনতে প্রস্তুত থাকবে।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে আরও জানান, মার্কিন সরকার নাইজেরিয়াকে দেওয়া সব সাহায্য এবং সহযোগিতা অবিলম্বে বন্ধ করবে। তিনি সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এসব বক্তব্য দেন। ট্রাম্পের নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় লেখেন যে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এবং হয় নাইজেরিয়া সরকার খ্রিস্টানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে নতুবা “আমরা এসব নৃশংসতা চালানো সন্ত্রাসীদের হত্যা করবো।”
রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যে নাইজেরিয়া সরকার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ টিনুবু এক বিবৃতিতে দেশটিতে ধর্মীয় সহিংসতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন, তাঁর সরকার সব নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে এবং ওয়াশিংটনকে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবেই দেখতে চায়।
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি নাইজেরিয়াকে আবারও বিশেষ উদ্বেগের দেশ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে—যেখানে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে। ওই তালিকায় আগে থেকে চীন, মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও পাকিস্তান রয়েছে। তবে রয়টার্স উল্লেখ করে, ট্রাম্প নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে কী ধরনের নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটছে—তার প্রমাণ দেয়নি।
বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি পশ্চিম আফ্রিকায় গত কয়েক বছরে পরিবর্তিত হয়েছে; নাইজার থেকে বড় সেনা প্রত্যাহারের পর অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বড় আমেরিকান সেনাবাহিনী নেই। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মহাদেশীয় অপারেশনগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঘাঁটি এখনো জিবুতিতে অবস্থিত, যেখানে হাজারেরও বেশি সেনা রয়েছে এবং প্রয়োজনে সেই ঘাঁটি ব্যবহার করে কৌশলগত অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।
ট্রাম্পের কড়া ভাষা এবং সামরিক হুমকি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে টানটান করে তুলেছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং নাইজেরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও ধর্মীয় সহনশীলতার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষকরা সর্তকভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।